তেল পিঠা আমার একটি খুব পছন্দের পিঠা। আমরা এটাকে ভাজা পিঠা বা পুয়াপিঠা বলে থাকি। আপনারা কি নামে চেনেন আমি হয়তো জানি না, অনেকেই একে পাকন পিঠা ,তেলে ভাজা পিঠ, পুয়াপিঠ, মালপোয়া পিঠা , তেলের পিঠা বিভিন্ন নামে ডাকেন। নাম যাই হোক না কেন বেশিভাগ মানুষের পছন্দ ও খাদ্যের তালিকা এই পিঠা টি থাকে । অন্যান্য পিঠা বানানো চেয়ে অনেক সহজ এই পীঠা বানানো। কিন্তু সমস্যা হল মাঝে মাঝে এটা কিছুতেই ফুলতে চায় না। আর গব গব করে তেল শুষে নেয় ।পিঠা না হলে মন খারাপ হওয়াতে তো কথা ।তবে আজ আমি যে রেসিপি আপনাদের দেখাবো আশা করি এর ফলো করে পিঠে বানালে খারাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।
শীতের দিনে পিঠাপুলি যেমন খেতে অনেক ভালো লাগে তেমনি ভাল লাগে বৃষ্টির দিনে খেতে। বৃষ্টির দিনের সকালে বা সন্ধ্যায় গরম গরম পিঠা হলে দারুণ জমে নাস্তায়। ঝটপট পিঠা রেসিপি আজ আমি আপনাদেরকে জানাবো। এই পিঠার অঞ্চল ভেদে
বিভিন্ন ধরনের নাম হয়ে থাকে। তবে যাই হোক না কেন। এটি একদম সম্পন্ন একটি দেশী পিঠা। আর দেশী পিঠা খাওয়ার স্বাদই আলাদা।
পিঠা ছাড়া শীতকালের কথা ভাবাই যায় না ।যদিও হয় বাংলাদেশি দেশী পিঠা তবে তো কথাই নেই। দেশী পিঠা সবার পছন্দ করে। বিশেষ করে আমি অনেক পছন্দ করি ।তেলের পিঠা হলে তো আরো ভালো, আমারে খুব
এটি একটি প্রিয় পিঠা ।ছোট বেলায় খেয়েছি নানুর হাতে, মার হাতে , মামীর হাতে বানানো পিঠা। তারপর নিজে নিজেই বানানো শিখেছে এই পিঠা ।অন্যান্য যত রকম পিঠা আছে তার মধ্যে আমার কাছে এইপিঠা একটু আলাদা । তাই আজ আমি আপনাদের দেখাবো সঠিকভাবে পিঠা তৈরি করতে পারে না
অনেকে। নষ্ট হয়ে যায় তাই আমি আশা করব আমি যেভাবে পিঠা বানাবো এভাবে যদি আপনারা ফলো ভালো করে বানাতে থাকেন, তাহলে ইনশাল্লাহ সঠিক ভাবে হবে। কোন প্রকার নষ্ট হবে না তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা চলে যাই ঝটপট মজাদার তেলের পিঠা বানাতে।
উপকরনঃ
- চালের গুঁড়া ১ কাপ
- ময়দা হাফ কাপ
- খেজুরের গুড় বা চিনি অথবা ব্রাউন সুগার – ৩/৪ কাপ (কম বেশি করা যাবে)
- মৌরি আস্ত হাফ চা চামচ ( না দিলেও হবে )
- লবন এক চিমটি
- তেল ভাজার জন্য
প্রস্তুত প্রনালীঃ
প্রথমে চাল দু থেকে তিন ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পানি ঝরিয়ে গেলে একটা প্লাস্টিকের চালনিনেই উপর রেখে দিতে হবে। আধা ঘন্টার জন্য, এরপর যখন চালগুলো ঝরঝরে হয়ে যাবে তখন চালগুলো ব্লেন্ডারে অথবা শিলপাটায় বেটে নিতে পারেন । তারপর একবারে চালনি
দিয়ে চেলে চালের গুড়া আলাদা করে নিতে হবে । তবে ঘরে থাকলে এত ঝামেলা করা লাগবে না। আর যদি না থাকে তাহলে চালের গুড়ো গুলো এভাবে তৈরি করে নিতে পারেন । আর চালের গুঁড়া তৈরি করে নিলে পিঠা অনেক সুস্বাদু হবে আর ফুলে ফুলে উঠবে অনেক সুন্দর হবে।এরপর একটা বড় বাটিতে পরিমাণমতো
গুর কেটে নিতে হবে। আপনারা চাইলে কিছুটা চিনিয়ে দিতে পারেন এতে অনেক সুন্দর হবে। এরপর একটি পাত্রে গুর, চিনি ও পরিমান মত পানি দিয়ে এটাকে জাল করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না এটার বলক চলে আসে। এটা বলক আসলে এটাকে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে কিছুক্ষন এটাকে নাড়তে হবে। একদম গরম গরম অবস্থায় আটা দিতে যাবেন না তাহলে দলা বেঁধে যাবে । পিঠাটা একটু ভালো হবে না । তাই যতটা সম্ভব একটু পানি
টাকে ঠান্ডা করে নিতে হবে। কিছুটা পানি ঠান্ডা হয়ে গেলে এর ভিতর খুব অল্প অল্প করে আটা মিশাতে হবে । তারপর এটাকে একটি গোলা তৈরি করে নিতে হবে । গোলা খুব বেশি পাতলা থাকবে । তারপরে এটাকে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিতে হবে।
কড়াই
বা প্যান এ তেল গরম করুন। তেল পর্যাপ্ত গরম হলেই মিশ্রণ তেলে ছাড়ুন।
একটি
বড় গোল চামচ নিয়ে মিশ্রণটি নেড়ে এক চামচ পরিমান মিশ্রণ তেলে ছাড়ুন। কয়েক
সেকেন্ড এর মধ্যে পিঠাটি ফুলে উঠবে। ফুলে উঠলে পিঠাটি উল্টে দিয়ে আরও কিছুক্ষণ
ভেজে তেল থেকে তুলে ফেলুন। নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই পিঠা।
No comments:
Post a Comment