শীতের দিনে সকালে অনেকে
আগের রাতের ভাত দিয়ে মজাদার খাবার তৈরি করে থাকেন। এর মধ্য অন্যতম হলো ভাত ভাজি
বা ঝাল ভাত। আগেকার দিনের মানুষেরা খুব কম দ্রব্য সামগ্রী নষ্ট করত , তারা ভাত দিয়ে বিভিন্ন প্রকার
বিভিন্ন প্রকার রান্না করত। এর মধ্যে অন্যতম হলো ভাত ভাজি। আগের দিনের মানুষ অনেক
হিসাব করে চলতো তাই তারা সহজেই কোন কিছু নষ্ট বা ফেলে দিতে চাইত না। তাই আগের
রাতের ভাত দিয়ে ভাত ভাজি করে খেতেও খুব মজাদার একটি খাবার।
কর্মব্যস্ততার জন্য আমাদের সবসময় রান্নার সময় হয়ে ওঠেনা। বিশেষ করে ব্যাচেলারদের এই সমস্যা সবচাইতে বেশী। আর তাই আমাদের ব্যাচেলার দর্শকদের জন্য খুব সহজ একটা রেসিপি নিয়ে আসলামভাত ভাজি। বাসি ভাত দিয়ে সহজেই তৈরী করা যায় এই ভাত ভাজি, যা খেতেও অনেক মজা।
গ্রামাবাংলায় শীতের সকালে একটি জনপ্রিয় খাবার ‘ভাত ভাজি’ বা ‘ভাত বিরান’। সাধারণত রাতের বাসি ভাত তেল লবণ পিঁয়াজ রসুন দিয়ে ভেজে নেয়ার মতো করে কয়েক মিনিট নেড়েচেড়ে রান্না করা হয়। আর ডিম পোজ দিয়ে খেতে এটা বেশ মজার। এই খাবারটিই আসলে শহুরে মানুষের পাল্লায় পড়ে হয়ে গেছে ‘ফ্রাইড রাইস’।
উপকরণ -
বাসমতি চাল অথবা পোলাওয়ের চাল ১ কেজি
ডিম ২ থেকে ৩টি
৩ থেকে ৮টি পেঁয়াজ কুচি
কাচা মরিচ স্বাদমতো
রসুন কুচি এক টেবিল চামচ
আদা কুচি এক টেবিল চামচ
আস্ত জিরা আধা চামচ
ফুল কপি, মটরসুঁটি, গাজর, বরবটি লাল কিংবা সবুজ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি।
লবণ স্বাধ মতো
তেল পরিমান মতো
ডিম ২ থেকে ৩টি
৩ থেকে ৮টি পেঁয়াজ কুচি
কাচা মরিচ স্বাদমতো
রসুন কুচি এক টেবিল চামচ
আদা কুচি এক টেবিল চামচ
আস্ত জিরা আধা চামচ
ফুল কপি, মটরসুঁটি, গাজর, বরবটি লাল কিংবা সবুজ, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি।
লবণ স্বাধ মতো
তেল পরিমান মতো
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে প্যান তেল দিয়ে তেল গরম হলে আস্ত জিরা দিন, এখন পেয়াজ কুচি দিয়ে লাল করে ভেজে নিয়ে এতে সব গুরা মশলা আর বাটা মশলা, লবণ স্বাদমত দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মশলা ভুনে নিন।
মশলা ভুনে আসলে এতে রান্না করা ভাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভাতগুলু মশলার সাথে মিশিয়ে নিন। উপরে ধনিয়া পাতা কুচি আর কাঁচামরিচ ফালি কয়েকটা দিয়ে ধিমি আঁচে রান্না করুন ১০ মিনিট।
হয়ে গেল রাতের বেঁচে যাওয়া বাড়তি ভাত দিয়েই মজাদার ভাত ভাজি । আপনি চাইলে এতে আর অনেক উপকরন যেমন পেয়াজ পাতা, অল্প টমেটো কুচি কিনবা রান্নাকরা মাংস দিতে পারেন।
No comments:
Post a Comment